জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের উদ্দেশ্য নিয়ে বলেছেন, সংস্কার কার্যক্রমে বিভিন্ন কমিশনের প্রস্তাবই চূড়ান্ত নয়। সবার সম্মতি থাকা প্রস্তাবগুলোকেই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।'
জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে কঠোর নয়, নমনীয় থাকতে চায়। তাদের চাওয়া ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন হোক।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আজ সোমবার (২ জুন) দ্বিতীয় দফায় সংলাপে বসছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশা সরকারের।
সংবিধান সংস্কারে বিএনপি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে লিখিতভাবে যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছিল, গতকাল কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় নানা যুক্তি-ব্যাখ্যায় দলটি সে অবস্থানই প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ সংবিধান ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি পরিবর্তনে কমিশনের করা সুপারিশগুলোতে বিএনপির জোরালো আপত্তি রয়েছে।
কমিশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রমসহ নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপের সুপারিশ করবে।